দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) থেকে রাজস্ব আদায়ে আটঘাট বেঁধে নেমেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গঠন করা হয়েছিল শক্তিশালী কমিটি। কিন্তু অবস্থা হয়েছে বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরোর মতো। বিপিএল শেষ হলেও এর খেলোয়াড়দের কাছ থেকে কোনো আয়কর মেলেনি।
জানা গেছে, বিপিএল থেকে ২০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার প্রাক্কলন করেছিল এনবিআর। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার কাছে থেকে ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া গেছে। তবে আগামী এপ্রিলের মধ্যে বিপিএলে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়, ক্লাবসহ সংশ্লিষ্টদের সব কর পরিশোধ করবে বলে এনবিআরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিসিবি ও ছয় দলের কর্মকর্তারা। দেশে প্রথমবারের মতো বিপিএল আয়োজিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল আইনি বিষয়গুলো বুঝে নিতে উল্লিখিত সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিপিএল থেকে রাজস্ব আদায়ে গঠিত কমিটির প্রধান ও কর পরিদর্শন পরিদফতরের মহাপরিচালক কানন কুমার রায় গতকাল সকালের খবরকে জানান, সরকারের ন্যায্য রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই বিপিএলকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের অনুষ্ঠান হওয়ায় কর পরিশোধের জন্য বিসিবি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের কর্মকর্তারা কিছুটা সময় চেয়েছেন।
কর পরিশোধ ছাড়া কোনো বিদেশি খেলোয়াড় দেশ ত্যাগ করলে সে ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) এবং বিপিএলে অংশ নেওয়া দলগুলোর কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে রাজস্ব আদায়ে গঠিত কমিটির কাছে আন্ডারটেকিং (মুচলেকা) দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী তারা আগামী এপ্রিলের মধ্যে যাবতীয় কর পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এনবিআর সূত্র জানায়, বিপিএল থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার প্রাক্কলন করা হলেও বিপিএলে অংশ নেওয়া মিডিয়ার কাছে থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া গেছে। এর বাইরে এ সংক্রান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া গেছে ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া দু’একদিনের মধ্যে আরও প্রায় ৫২ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। তবে কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এখনও কোনো রাজস্ব পাওয়া যায়নি। বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে ২৫ শতাংশ আয়কর কেটে রাখা হবে। আর দেশি খেলোয়াড়দের ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
জানা যায়, বিপিএলের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায়ে কঠোর অবস্থান নেয় এনবিআর। সেই অনুযায়ী কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হয়। তবে প্রথম দিকে বিপিএলের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হলেও শেষদিকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআর থেকে বলে দেওয়া হয়, এনবিআরের ছাড়পত্র না নিয়ে কোনো দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় বা বিপিএল সংশ্লিষ্ট কোনো কলাকুশলী দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্তৃপক্ষকে এনবিআর থেকে অবহিত করা হয়। এ পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ খেলোয়াড়দের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারা এনবিআরকে জানায়, দেশে প্রথমবারের মতো বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল আইনি বিষয়গুলো বুঝে নিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই আগামী এপ্রিলের মধ্যে খেলোয়াড়দের সব রাজস্ব ক্লাব কর্তৃপক্ষ এনবিআরের কাছে জমা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
খবরঃ সকালের খবর
জানা গেছে, বিপিএল থেকে ২০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার প্রাক্কলন করেছিল এনবিআর। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার কাছে থেকে ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া গেছে। তবে আগামী এপ্রিলের মধ্যে বিপিএলে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়, ক্লাবসহ সংশ্লিষ্টদের সব কর পরিশোধ করবে বলে এনবিআরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিসিবি ও ছয় দলের কর্মকর্তারা। দেশে প্রথমবারের মতো বিপিএল আয়োজিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল আইনি বিষয়গুলো বুঝে নিতে উল্লিখিত সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিপিএল থেকে রাজস্ব আদায়ে গঠিত কমিটির প্রধান ও কর পরিদর্শন পরিদফতরের মহাপরিচালক কানন কুমার রায় গতকাল সকালের খবরকে জানান, সরকারের ন্যায্য রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই বিপিএলকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের অনুষ্ঠান হওয়ায় কর পরিশোধের জন্য বিসিবি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের কর্মকর্তারা কিছুটা সময় চেয়েছেন।
কর পরিশোধ ছাড়া কোনো বিদেশি খেলোয়াড় দেশ ত্যাগ করলে সে ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) এবং বিপিএলে অংশ নেওয়া দলগুলোর কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে রাজস্ব আদায়ে গঠিত কমিটির কাছে আন্ডারটেকিং (মুচলেকা) দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী তারা আগামী এপ্রিলের মধ্যে যাবতীয় কর পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এনবিআর সূত্র জানায়, বিপিএল থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার প্রাক্কলন করা হলেও বিপিএলে অংশ নেওয়া মিডিয়ার কাছে থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়া গেছে। এর বাইরে এ সংক্রান্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া গেছে ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া দু’একদিনের মধ্যে আরও প্রায় ৫২ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। তবে কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এখনও কোনো রাজস্ব পাওয়া যায়নি। বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে ২৫ শতাংশ আয়কর কেটে রাখা হবে। আর দেশি খেলোয়াড়দের ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
জানা যায়, বিপিএলের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায়ে কঠোর অবস্থান নেয় এনবিআর। সেই অনুযায়ী কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হয়। তবে প্রথম দিকে বিপিএলের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা বলা হলেও শেষদিকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এনবিআর থেকে বলে দেওয়া হয়, এনবিআরের ছাড়পত্র না নিয়ে কোনো দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় বা বিপিএল সংশ্লিষ্ট কোনো কলাকুশলী দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কর্তৃপক্ষকে এনবিআর থেকে অবহিত করা হয়। এ পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ খেলোয়াড়দের দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারা এনবিআরকে জানায়, দেশে প্রথমবারের মতো বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল আইনি বিষয়গুলো বুঝে নিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই আগামী এপ্রিলের মধ্যে খেলোয়াড়দের সব রাজস্ব ক্লাব কর্তৃপক্ষ এনবিআরের কাছে জমা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
খবরঃ সকালের খবর