ক্লাবগুলো ভাগ পেয়ে চুপ হয়ে গেছে। পুলিশ টাকার ভাগ চেয়েছে, তারাও পাবে। জাতীয় ক্রীড়াপরিষদের (এনএসসি) কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকে এখনও ভাগ দেওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে অর্ন্তজ্বালা বেশি। সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কাজে এনএসসির কর্মকর্তারা তাই বাঁহাত ঢুকিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র আয়ের টাকার ভাগ স্টেডিয়ামের দোকানমালিকদেরকেও দিতে বলেছে এনএসসি। তাও মৌখিক নয় লিখিত ভাবে জানিয়েছে। বিপিএলের খেলা চলাকালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দোকান বন্ধ রাখার ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা বিসিবির কোষাগার থেকে পুষিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে এনএসসি।
খেলার নিরাপত্তার স্বার্থে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দোকান বন্ধ রাখা হবে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে কোন আর্থিক ক্ষতির বিষয় আলোচনায় আসেনি। সমন্বিত নিরাপত্তা বাহিনীও নিরাপত্তার খাতিরে দোকানগুলো বন্ধরাখার জন্য বিসিবিকে চিঠি দেয়। সে অনুযায়ী বিসিবি গত ৪ ফেব্রুয়ারি এনএসসির কাছে দোকান বন্ধের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সরকারি অফিসে আবেদনপত্র ঢোকার পর ফাইলের নিচে চাপা পড়ে। অনেক তোড়জোরের পর শেষে এনএসসি থেকে একটি চিঠি ইস্যু হয় ৯ ফেব্রুয়ারি, যেদিন বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
কিন্তু বিসিবি চিঠি হাতে না পাওয়ায় পরের দিন জোর করে দোকানীরা তাদের ফার্নিচারের পসরা সাজিয়ে বসে। স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশের গেট ভেঙ্গে মালামালও আনানেওয়া করতে থাকে। শেষে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় বলে জানান শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভেন্যু প্রশাসক কর্নেল (অব:) আবুল কামাল মো. জাকি, ‘এনএসসির কাছ থেকে আমাদেরকে চিঠি দিতে দেরি করায় বড় সমস্যায় পড়তে হয়। দোকানমালিকদের দাবি এনএসসির চিঠি না পেলে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাবে। শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় ক্রীড়াপল্লীর প্রশাসক সাইফুর রহমানের কাছ থেকে চিঠি আনিয়ে দোকান মালিকদের দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভাগ্যিস পুলিশ সময় মতো উপস্থিত হয়েছিলো।’
দোকান মালিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বক্তব্য,‘এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দোকান বন্ধরাখার। কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি সেখানে এনএসসি ক্ষতিপূরণ দিতে বলছে। আজ বিপিএল হচ্ছে বলে টাকা দিতে বলছে। এরপর যে কোন খেলার জন্য দোকান বন্ধরাখতে হলে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্টেডিয়ামে দোকান থাকায় এমনিতেই আইসিসির আপত্তি আছে। তারওপর এসএসসির এমন সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর! কোথায় স্টেডিয়াম থেকে দোকান সরিয়ে নেবে, তা না দোকানদারদের হয়ে কাজ করছে এনএসসি।’
এনএসসির চিঠিতে উল্লেখ আছে: ‘গত ৩০/০১,২০১২ইং তারিখ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা হয় যে খেলা চলাকালীন দিনসমূহতে দোকান বন্ধ রাখার ফলে দোকান মালিকদের যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা বিসিবি ও দোকান মালিক সমিতি যৌথভাবে বসে আলোচনা করে ক্ষতি নির্ধারণ পূর্বক বিসিবি আর্থিক ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
কোন কারণে বিসিবি এখন দোকানমালিকদেরকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ না দিলে এনএসসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আদালত পর্যন্ত যেতে পারবে তারা।
এদিকে এনএসসি পরিচালক (প্রশাসন) শেখ আতাহার হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
খবরঃ বাংলা নিউজ ২৪
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র আয়ের টাকার ভাগ স্টেডিয়ামের দোকানমালিকদেরকেও দিতে বলেছে এনএসসি। তাও মৌখিক নয় লিখিত ভাবে জানিয়েছে। বিপিএলের খেলা চলাকালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দোকান বন্ধ রাখার ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা বিসিবির কোষাগার থেকে পুষিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে এনএসসি।
খেলার নিরাপত্তার স্বার্থে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দোকান বন্ধ রাখা হবে বলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে কোন আর্থিক ক্ষতির বিষয় আলোচনায় আসেনি। সমন্বিত নিরাপত্তা বাহিনীও নিরাপত্তার খাতিরে দোকানগুলো বন্ধরাখার জন্য বিসিবিকে চিঠি দেয়। সে অনুযায়ী বিসিবি গত ৪ ফেব্রুয়ারি এনএসসির কাছে দোকান বন্ধের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সরকারি অফিসে আবেদনপত্র ঢোকার পর ফাইলের নিচে চাপা পড়ে। অনেক তোড়জোরের পর শেষে এনএসসি থেকে একটি চিঠি ইস্যু হয় ৯ ফেব্রুয়ারি, যেদিন বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
কিন্তু বিসিবি চিঠি হাতে না পাওয়ায় পরের দিন জোর করে দোকানীরা তাদের ফার্নিচারের পসরা সাজিয়ে বসে। স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশের গেট ভেঙ্গে মালামালও আনানেওয়া করতে থাকে। শেষে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় বলে জানান শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভেন্যু প্রশাসক কর্নেল (অব:) আবুল কামাল মো. জাকি, ‘এনএসসির কাছ থেকে আমাদেরকে চিঠি দিতে দেরি করায় বড় সমস্যায় পড়তে হয়। দোকানমালিকদের দাবি এনএসসির চিঠি না পেলে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাবে। শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় ক্রীড়াপল্লীর প্রশাসক সাইফুর রহমানের কাছ থেকে চিঠি আনিয়ে দোকান মালিকদের দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভাগ্যিস পুলিশ সময় মতো উপস্থিত হয়েছিলো।’
দোকান মালিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বক্তব্য,‘এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে দোকান বন্ধরাখার। কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি সেখানে এনএসসি ক্ষতিপূরণ দিতে বলছে। আজ বিপিএল হচ্ছে বলে টাকা দিতে বলছে। এরপর যে কোন খেলার জন্য দোকান বন্ধরাখতে হলে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্টেডিয়ামে দোকান থাকায় এমনিতেই আইসিসির আপত্তি আছে। তারওপর এসএসসির এমন সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর! কোথায় স্টেডিয়াম থেকে দোকান সরিয়ে নেবে, তা না দোকানদারদের হয়ে কাজ করছে এনএসসি।’
এনএসসির চিঠিতে উল্লেখ আছে: ‘গত ৩০/০১,২০১২ইং তারিখ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা হয় যে খেলা চলাকালীন দিনসমূহতে দোকান বন্ধ রাখার ফলে দোকান মালিকদের যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা বিসিবি ও দোকান মালিক সমিতি যৌথভাবে বসে আলোচনা করে ক্ষতি নির্ধারণ পূর্বক বিসিবি আর্থিক ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
কোন কারণে বিসিবি এখন দোকানমালিকদেরকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ না দিলে এনএসসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আদালত পর্যন্ত যেতে পারবে তারা।
এদিকে এনএসসি পরিচালক (প্রশাসন) শেখ আতাহার হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
খবরঃ বাংলা নিউজ ২৪