2.07.2012

হায় হায় ক্লাবগুলো বিপিএল ধ্বংস করার কি অপচেষ্টা করছে

0 Comments
হায় হায় বাংলাদেশের ক্লাবগুলো কি ক্রিকেট ধ্বংসের চেষ্টায় নেমেছে। ক্লাবগুলো বিপিএল এর অগ্রগতি থামানোর অপচেষ্টায় নেমেছে। আমার মনে হয় এর পিছনে কোন অশুভ শক্তির হাত রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আয়োজন করতে গিয়ে অভিনব প্রতিরোধের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তারা একজোট হয়ে বিপিএল থেকে আয়কৃত অর্থের এক চতুর্থাংশ দাবি করেছে। ক্রিকেটারদের আয়েও ভাগ বসাতে চায় ক্লাবগুলো।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মঞ্জুরুল কাদের সাক্ষরিত সাদা কাগজে লেখা একটি চিঠি সোমবার বিসিবি সভাপতির হাতে পৌঁছায়। তাতে লেখা হয়েছে,‘বিপিএল থেকে ক্রিকেটারদের আয়ের ২৫ শতাংশ দিতে হবে ক্লাবগুলোকে। আর দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে বিপিএল আয়োজন করে যে অর্থ আয় করবে তা থেকে ২৫ শতাংশ দিতে হবে ঢাকা মহানগর ও দেশের সকল জেলার ক্লাবকে। ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে ক্লাব কর্মকর্তাদের চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,‘বিসিবি সভাপতি বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি-ই সিদ্ধান্ত দেবেন।’

ক্লাবের ব্যানারে এ ধরণের চিঠি দেওয়ার ক্ষমতা শেখ জামাল সভাপতির আছে কি না জানতে চাওয়ায় মঞ্জুরুল কাদের বলেন,‘অবশ্যই আছে। আমরা ক্লাব কর্মকর্তা। অনেক কষ্ট করে আমরা ক্লাব চালাই। দেশের ক্রিকেট আজ যেখানে দেখছেন তা ক্লাবের জন্যই। জাতীয় দলের খেলা ছাড়া কোন ক্রিকেটার অন্য কোথাও খেলতে পারবে না। আমরা বিদেশ থেকে খেলোয়াড় আনি অন্য ক্লাবকে টাকা দিয়ে। বিপিএলে খেলতে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে নিজ নিজ ক্লাবকে আয়ের ২৫ শতাংশ দিতে হবে। বিসিবিকেও ২৫ শতাংশ দিতে হবে।’

ক্লাবগুলো যে অর্থ দাবি করছে সে বিষয়ে ক্রিকেটাররা এখনও কিছু জানেন না। গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্সের খেলোয়াড় নাসির হোসেন ক্লাবের এমন দাবির কথা শুনে অবাক হয়েছেন,‘আমাদেরকে তো কিছু বলা হয়নি। আমরা কেন টাকা দেবো। তাদেরকে লিগের খেলা খেলে দিলেই তো হয়।’

ক্রিকেটারদের আয়ের একচতুর্থাংশ চাচ্ছে ক্লাব। আয়কর হিসেবে চলে যাবে ২৫ শতাংশ। বিপিএলে খেলাটাই এখন ক্রিকেটারদের জন্য অপরাধ হয়ে যাচ্ছে।

আসলে ক্লাব কর্মকর্তাদের ক্ষোভ অন্য খানে। বাকিটা মঞ্জুরুল কাদেরের মুখেই শোনা যাক,‘আমাদের খেলোয়াড়দেরকে নেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের সঙ্গে সৌজন্য পর্যন্ত দেখায়নি বিসিবি। তাহলে কেন আমরা তাদেরকে ছাড়বো। বিপিএল হলে কয়েকজন কর্মকর্তার পকেট ভারি হবে। আমরা এই অর্থ লোপাট করতে দেবো না। একটি মহল দেশ থেকে ডলার পাচার করবে বিপিএলের মধ্যমে। বিপিএল করতে হলে আমাদেরকে অর্থ দিয়েই করতে হবে। তা না হলে মামলায় যাবো।’

মঞ্জুরুল কাদেরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার বিরুদ্ধে সরকার বা বিসিবি মামলা করলে কি করবেন? তিনি বলেন,‘কেন করবে? আমরা রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি করছি না। বিসিবির লোকজন যাতে লোপাট করতে না পারে সেই চেষ্টা করবো।’

এদিকে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান উপস্থিত থাকবেন। আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবিষয়ে প্রচারও করা হয়েছে। চ্যানেল নাইন, ইএসপিএনের কাছে খেলা সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করা হয়েছে। টাইটেল স্পন্সরসহ অনেক টাকা বিনিয়োগ হয়ে গেছে বিপিএলে। বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ এবং কর্মকর্তারও বিপিএলে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন। এই মুহূর্তে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মঞ্জুরুল কাদেরের লিখিত হুমকিতে পন্ড হয়ে যেতে পারে সমস্ত চেষ্টা।

  সুত্রঃ বাংলানিউজ২৪.কম